স্বদেশ ডেস্ক:
মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের অবৈধভাবে সহযোগিতার দায়ে ২৭ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ও দালালসহ ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) ‘স্টিং অপস সেল্ট’ অভিযানে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতার অপরাধে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা, এজেন্ট ও দালালসহ ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এদের মধ্যে ২৭ জনই অভিবাসন কর্মকর্তা এবং বাকিরা হচ্ছেন বিভিন্ন এজেন্ট ও শ্রমিকের মধ্যাস্থতাকারী দালাল। তারা সম্মিলিতভাবে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করে এই দুর্নীতি করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার দেশটির সংবাদ মাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমিগ্রেশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে দেশটির পুত্রাজায়া, সেলেঙ্গর, জোহর বাড়ু, সাবাহ এবং সারাওয়াক প্রদেশ থেকে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়। এই যৌথ অভিযানের নাম ছিল ‘অপস সেল্ট’।
এই সিন্ডিকেটের দুর্নীতির বিষয়ে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া যে সমস্ত অভিবাসীরা অবৈধ হয়ে পড়েছেন বা বিভিন্ন কারণে দেশটিতে ব্ল্যাক লিস্টেড হয়েছেন এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য এজেন্ট ও দালালের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অফিসারকে হাত করে মোটা অংকের টাকা দিতেন। তারপর কোনো অভিবাসী ইমিগ্রেশন বিভাগে স্ব-শরীরে হাজির না হয়েই তাদের পাসপোর্টে আগমন ও বর্হিগমন ইমিগ্রেশন সিল বা স্টিকার লাগিয়ে নিতেন। এতে যেন বুঝা যায় যে, কোনো ব্ল্যাক লিস্টেড নেই। তারা সম্প্রতি মালয়েশিয়া ত্যাগ করে আবার মালয়েশিয়া প্রবেশ করেছেন। এই কাজের জন্য তারা প্রত্যেক অভিবাসীর কাছ থেকে ছয় হাজার রিংগিত নিতেন।
এমএসিসির পরিচালক (তদন্ত) নওরজলান মোহাম্মদ রাজালী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।